সফটওয়্যার কি? সফটওয়্যারের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানুন
যত দিন যাচ্ছে, আমাদের জীবন তত আধুনিক হচ্ছে। তাই কাগজ কলমের জায়গায় আমাদের ডেস্কে এখন জায়গা করে নিয়েছে কম্পিউটার। যারা কম্পিউটার ইউজ করেন, তারা নিশ্চয়ই সফটওয়্যার শব্দটির সাথে পরিচিত। প্রতিদিন পড়াশোনা কিংবা অফিসের কাজে নানা রকম সফটওয়্যার ব্যবহার করলেও সফটওয়্যার কি (what is software in bangla) ? এই প্রশ্নটির উত্তর অনেকেই সঠিকভাবে দিতে পারেন না। সত্যি বলতে সফটওয়্যার ছাড়া কিন্তু কম্পিউটার অপারেট করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আর এ কারণেই এগুলো সম্পর্কে সবার পরিষ্কার ধারণা রাখা উচিত। তাই আজকের লেখায় আলোচনা করবো সফটওয়্যার, সফটওয়্যার এর জনক কে এবং সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করছি আপনারা সবাই এ লেখাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
সফটওয়্যার কি? What Is Software In Bangla
আমাদের নিত্যদিনের জীবনে যে ইলেকট্রনিক গ্যাজেট গুলো ব্যবহার করতেই হয় সেগুলোর মধ্যে কম্পিউটার অন্যতম৷ যেমনঃ কম্পিউটারের মাইক্রোসফট অফিস ব্যবহার করে অনেকে বিভিন্ন ডকুমেন্টস, শিটস বা প্রেজেন্টেশন তৈরি করেন।
আবার কেউ কম্পিউটারে ডিজাইনের কাজ করেন, কেউবা প্রোগ্রামিং করেন। আবার কম্পিউটারের মাধ্যমে কিন্তু আমরা অবসর সময়ের বিনোদনেরও খোরাক জোগাই। কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে? আমি ই বলে দিচ্ছি! কম্পিউটার কাজ করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। তাই চলুন শুরুতেই জেনে নেয়া যাক সফটওয়্যার কি (what is software in bangla) সে সম্পর্কে।
[lwptoc width=”full” backgroundColor=”” borderColor=”#c4c4c4″]
খুব সহজ ভাষায় সফটওয়্যার হলো স্পেসিফিক কিছু ইনস্ট্রাকশন এবং প্রোগ্রামের কম্বিনেশন, যা কম্পিউটার অপারেট করতে ব্যবহার করা হয়। শুধু সাধারণভাবে কম্পিউটার অপারেট করাই নয়, সফটওয়্যারের মাধ্যমে কিন্তু কম্পিউটারে কোনো নির্দিষ্ট কাজও করা যায়। তাই এই সফটওয়্যার ছাড়া আপনার কম্পিউটার একদমই অচল বললেও ভুল বলা হবেনা।
আশা করি সফটওয়্যার কি একটু হলেও বোঝাতে পেরেছি। এবার একটু ডিটেইলে যাওয়া যাক।
প্রতিটি কম্পিউটার অপারেট করার জন্য দুই ধরনের উপাদান প্রয়োজন। যেগুলো হলো হার্ডওয়ার এবং সফটওয়্যার। কম্পিউটার হার্ডওয়ার হচ্ছে একটি কম্পিউটারের সেসব উপাদান যেগুলো আমরা খালি চোখে দেখতে পাই এবং হাত দিয়ে স্পর্শও করতে পারি। যেমনঃ মনিটর, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি। এখন এই কম্পিউটার হার্ডওয়ারগুলো নিজে থেকে কাজ করতে পারেনা। এগুলো যেন কাজ করে সেজন্যে প্রয়োজন কিছু ইনস্ট্রাকশন বা নির্দেশনা। এই নির্দেশনা দেয়ার কাজটিই করে থাকে সফটওয়্যার।
সুতরাং, যদি সফটওয়্যার এর সংজ্ঞা দিতে যাই, তাহলে এভাবে বলা যায়, একটি কম্পিউটার সিস্টেমের হার্ডওয়্যারগুলোকে কন্ট্রোল ও পরিচালনা করার মাধ্যমে কোনো কাজ সম্পাদন করতে সহায়তা করার জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকেই সফটওয়্যার বলে। অর্থাৎ কোনো কম্পিউটার কখন কি করবে সেটি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করাই একটি সফটওয়্যারের মূল কাজ।
এদিক থেকে বলতে গেলে হার্ডওয়্যার হলো একটি কম্পিউটারের শরীর এবং সফটওয়্যার হচ্ছে এটির ব্রেইন। আমরা যেমন আমাদের মস্তিষ্ক ছাড়া কোনো কাজই করতে পারি না, তেমনি কম্পিউটারও সফটওয়্যার ছাড়া কোনো কাজই করতে পারে না। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের প্রোপার কানেকশনের ফলেই আমরা এত আরামে প্রতিদিন কম্পিউটারে আমাদের যাবতীয় কাজ সেরে নিতে পারি।
হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার এর পার্থক্য কি?
অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার এর পার্থক্য কি? এবার সে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেই।
হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার এর পার্থক্য হচ্ছে হার্ডওয়ার আপনি চোখে দেখতে পেলেও সফটওয়্যার কিন্তু পুরোপুরি ভার্চুয়াল, অর্থাৎ আপনি কোনো সফটওয়্যার নিজের চোখে দেখতে পাবেন না কিংবা স্পর্শও করতে পারবেন না।
কেন জানেন? কারণ প্রতিটি সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বা কোডিংয়ের এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ হলো এমন একটি কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ যেখানে অসংখ্য বাইনারি ডাটা, রুলস, কি ওয়ার্ড ও স্ক্রিপ্ট থাকে। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করেই মূলত সফটওয়্যার বানানো হয়। কয়েকটি জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ হলো পিএইচপি, জাভা, সি প্লাস প্লাস ইত্যাদি। প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে তৈরি হয় বলেই সফটওয়্যারের কোনো বাহ্যিক আকৃতি নেই। তবে আপনারা কম্পিউটারে কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করলে স্ক্রিনে সেগুলোর ইউজার ইন্টারফেস দেখতে পাবেন।
হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার এর পার্থক্য হিসেবে আরো বলা যায় – দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বা অন্য কোনো কারণে হার্ডওয়ার নষ্ট হয়ে অকেজো হলেও সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে এটি হয়না। হার্ডওয়্যারে কখনোই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়না যা সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এগুলোই হলো হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার এর পার্থক্য।
সফটওয়্যারের ইতিহাসঃ সফটওয়্যারের জনক কে?
এবার আসা যাক সফটওয়্যাররের ইতিহাস নিয়ে। আপনারা কি জানেন সফটওয়্যার এর জনক কে?
পৃথিবীর প্রথম সফটওয়্যারটি ১৯৪৮ সালে তৈরি করেছিলেন টম কিলবার্ন। তার বানানো সফটওয়্যারটি মেশিন কোড ইনস্ট্রাকশানের মাধ্যমে বিভিন্ন গাণিতিক হিসাব করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিলো।
Read More: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি
এরপর থেকেই সফটওয়্যার বানানোর জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ফোরটান, বেসিক বা কোবোলের মতো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ আবিষ্কার করা হয়।
তারপর ১৯৭০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে আমাদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হওয়া কম্পিউটার অর্থাৎ পারসোনাল কম্পিউটার বাজারে আসায় সফটওয়্যারের পরিচিতি বেড়ে কয়েকগুণ হয়ে যায়। বিশেষ করে ১৯৭৭ সালে অ্যাপেল থেকে রিলিজ হওয়া অ্যাপেল -টু কম্পিউটারে থাকা ভিসিক্যাল্ক নামক স্প্রেডশিট বানানোর সফটওয়্যারটি হয়ে ওঠে সবার প্রিয়। ১৯৯০ সালের দিকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার আবিষ্কার হওয়ার পর সফটওয়্যারের উন্নতি ও জনপ্রিয়তা আরো বাড়তে থাকে।
আর এখনকার দিনে তো সফটওয়্যারের অভাবই নেই। কম্পিউটারে প্রতিটি কাজ করার জন্যই আমাদের হাতের কাছে এভেইলেবল রয়েছে বিভিন্ন সফটওয়্যার, যা আমাদের কষ্ট কমানোর পাশাপাশি বাঁচিয়ে চলেছে আমাদের মহামূল্যবান সময়ও!
সফটওয়্যারের প্রকারভেদ
সফটওয়্যার কত ধরণের হয় সেটিও আপনাদের জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এবার আমি আপনাদেরকে জানাবো সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে। বিশেষজ্ঞদের মতে সফটওয়্যার মূলত দুই প্রকার। যেগুলো হলো সিস্টেম সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। তবে ইউটিলিটি সফটওয়্যার নামক আরেকটি সফটওয়্যার রয়েছে যেটিকে অনেকে সিস্টেম সফটওয়্যার এর একটি ধরণ হিসেবে গণ্য করেন। সেই হিসেবে আসলে সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ তিন ধরনের। এগুলো হলো-
- সিস্টেম সফটওয়্যার
- অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
- ইউটিলিটি সফটওয়্যার
১। সিস্টেম সফটওয়্যার
সব সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ এর মধ্যে যেটি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে সিস্টেম সফটওয়্যার। তাহলে চলুন শুরুতেই জেনে নেই সিস্টেম সফটওয়্যার কি সে সম্পর্কে।
সিস্টেম সফটওয়্যার হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যেটি একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়ারকে কন্ট্রোল করে এবং একইসাথে এই হার্ডওয়ারগুলোকে যেকোনো কাজ করার জন্য কমান্ড বা নির্দেশ দিয়ে থাকে। অর্থাৎ কোনো কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের কন্ট্রোলের সাথে সম্পর্কিত যেকোনো কাজই এই সফটওয়্যার করে থাকে। সেই হিসাবে সিস্টেম সফটওয়্যারকে সমন্বয়কারী সফটওয়্যারও বলা হয়।
সিস্টেম সফটওয়্যার মূলত একটি কম্পিউটারের ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করে থাকে এবং কম্পিউটারের সবগুলো ফাংশন যেন সঠিক ভাবে রান করতে পারে সেটি নিশ্চিত করে। এই সফটওয়্যারকে লো -লেভেল -সফটওয়্যার নামেও ডাকা হয়।
এর পাশাপাশি সিস্টেম সফটওয়্যার অন্যান্য সফটওয়্যার যেমনঃ অ্যান্টিভাইরাস কিংবা কম্পাইলারের মতো সফটওয়্যারগুলোকে কাজ করার জন্য উপযুক্ত প্লাটফর্ম প্রধানের কাজটি করে থাকে।
ফেসবুক আইডি খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
সিস্টেম সফটওয়্যারের আরো কিছু ফিচার আপনাদের জেনে রাখা উচিত। সাধারণত এই সফটওয়্যার আকারে ছোট হয়ে থাকে৷ তবে সত্যি বলতে এই সফটওয়্যার ডিজাইন করা খুবই কঠিন ও কষ্টসাধ্য। এটি লো লেভেল ল্যাংগুয়েজে ডিজাইন করা হয়। সিস্টেম সফটওয়্যার এর কয়েকটি উদাহরণ হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড, ম্যাক ওএস, উইন্ডোজ ওএস ইত্যাদি।
২। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
যারা সফটওয়্যার সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা রাখেন, তারা সাধারণত যে একটি সফটওয়্যারের নাম জানেন সেটি হলো অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। এবার আমরা জানবো অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার সম্পর্কে।
সফটওয়্যারের সবগুলো প্রকারভেদের মধ্যে সবার কাছে সবচেয়ে পরিচিত সফটওয়্যারটি হচ্ছে এই অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। কোন নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য যে সফটওয়্যারগুলো ডিজাইন করা হয়ে থাকে, সেগুলোকেই মূলত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়। এই সফটওয়্যারটির মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটিতে একজন কম্পিউটার ইউজার সরাসরি ইন্ট্যার্যাক্ট করার মাধ্যমে
নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে পারেন।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি (what is application software in bangla) সেটি বোঝানোর জন্য আমি ছোট্ট একটি উদাহরণ ব্যবহার করছি। আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই করোনার সময় জুম বা গুগল মিট ব্যবহার করে আপনাদের ক্লাসে কিংবা অফিসের মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। এখানে জুম এবং গুগল মিট হচ্ছে এক ধরণের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার, যেটির কাজ হলো ভিডিও বা অডিও কনফারেন্স করা। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্যই কিন্তু এই সফটওয়্যারটি ডিজাইন করা হয়েছে। আশা করি এবার বুঝতে পেরেছেন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কি।
বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর ব্যবহার রয়েছে। আপনি এডুকেশন সেক্টর বলুন কিংবা বিজনেস সেক্টর, প্রতিটি সেক্টরেই এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের কারণে বর্তমানে আমরা অনেক কম সময়ে বিভিন্ন কাজ করতে পারি। তাই আমাদের জীবনে এগুলোর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর মূল কাজগুলো হচ্ছে ডেটা ম্যানিপুলেশন, ফিগার ক্যালকুলেশন, স্প্রেডশিট তৈরি, রিপোর্ট রাইটিং, ভিজুয়াল তৈরি, কোন কিছুর রেকর্ড রাখা ইত্যাদি। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো মাইক্রোসফট অফিস, গুগল ক্রোম, মজিলা ফায়ারফক্স, স্পটিফাই, স্কাইপ ইত্যাদি।
৩। ইউটিলিটি সফটওয়্যার
একটি কম্পিউটার যেন সঠিক ভাবে ফাংশন করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে ইউটিলিটি সফটওয়্যার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সফটওয়ারের মাধ্যমে কম্পিউটারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমনঃ ভাইরাস ডিটেকশন, ফাইল কম্প্রেসিং ইনস্টল, আনইন্সটল, ডেটা ব্যাকআপ, ফাইল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন হয়।
এর মূল কাজগুলো হলো কমপিউটারের পারফরমেন্স উন্নত করা,কম্পিউটার সিস্টেম নিরাপদে রাখা, কম্পিউটারের স্পিড, ডাটা, ফাইল ইত্যাদি সঠিকভাবে ম্যানেজ করা, অপ্রয়োজনীয় ফাইল রিমুভ করা, কোনো ফাইল ডিলিট হয়ে যাওয়ার পর সেটি রিকভার করতে সহায়তা করা ইত্যাদি।
এটি বোঝার জন্য সবচাইতে সহজ উদাহরণ হচ্ছে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার। আমরা জানি আমাদের কম্পিউটারে বিভিন্ন কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। যখন কম্পিউটারে ভাইরাস অ্যাটাক করে, তখন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বা ডেটা ডিলিট হয়ে যেতে পারে। এটি যেন না হয় সেজন্য আমরা কম বেশি সবাই বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার (যেমনঃ উইন্ডোজ ডিফেন্ডার) ইন্সটল করি, যা ইউটিলিটি সফটওয়্যারের একটি পারফেক্ট উদাহরণ। কারণ এই সফটওয়্যারটি কম্পিউটারকে ভাইরাসমুক্ত রেখে কম্পিউটারের ভালোমতো ফাংশন করার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
Online Business Ideas in Bangladesh
আশা করি সবাই সফটওয়্যার এর প্রকারভেদ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। সত্যি বলতে প্রতিটি সফটওয়্যারই আমাদের জীবন অনেক সহজ করে দিয়েছে এবং আমাদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতেও হেল্প করেছে। সফটওয়্যার নিয়ে এখনও অনেক গবেষণা চলছে এবং আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে আমরা আরো চমকপ্রদ অনেক সফটওয়্যার দেখতে পাবো।
সফটওয়্যার ডাউনলোড করার উপায়
সফটওয়্যার কি (What Is Software In Bangla) এবং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানার পর আপনারা নিশ্চয়ই এখন জানতে চাইবেন যে সফটওয়্যার ডাউনলোড করার উপায় কি। যেহেতু কম্পিউটারে সব সফটওয়্যার ইন্সটল করে দেয়া থাকে না, এজন্য আপনাদেরকে কম্পিউটারে থাকা যেকোনো ওয়েব ব্রাউজারের সাহায্যে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিতে হবে। তারপর সেগুলো কম্পিউটারে ইনস্টল করে নিতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে সবসময় একটি সর্তকতা অবলম্বন করার চেষ্টা করবেন, সেটি হলো এমন কোন ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন না যেখান থেকে ডাউনলোড করার পর আপনার কম্পিউটারের ভাইরাসের বা মালওয়্যারের আক্রমন হতে পারে। যে সফটওয়্যারটিই ডাউনলোড করুন না কেন, ডাউনলোডের আগে সময় নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ রিসার্চ করে নিন। যেকোনো সফটওয়্যার খুব সহজে ডাউনলোড করার জন্য কয়েকটি ওয়েবসাইট হলো getitintopc.com, softpedia.com ইত্যাদি।
শেষ কথা
এটুকুই ছিল সফটওয়্যার সম্পর্কিত আমাদের আজকের আলোচনা। আমি চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব সহজ ভাষায় সফটওয়্যার সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে। যদি আজকের লেখাটি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে, তাহলে এটি আপনাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করুন এবং এমন আরো আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।