সেরা ১০ টি বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসার ধারণা
অল্প পুঁজিতে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া কি কি হতে পারে?
এ প্রশ্নটি বর্তমানে কমবেশি সবাই করে থাকেন। সত্যি বলতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া প্রতিটি মানুষের জীবনের অন্যতম স্বপ্ন। আর এই স্বপ্ন পূরণের এক দারুণ মাধ্যম হতে পারে বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসা।
আজকের লেখায় জানাবো অনলাইন ব্যবসা কি, অল্প পুঁজিতে ২০২২ সালের সেরা ১০ টি অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া ও অনলাইন ব্যবসার সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
অনলাইন ব্যবসা কি ?
অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানার আগে চলুন আমরা অনলাইন ব্যবসা কি সেটি আগে জেনে নেই। অনলাইন ব্যবসা হচ্ছে এমন এক ধরণের ব্যবসা যেখানে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ের পুরো প্রক্রিয়াই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থাৎ ভার্চুয়ালি পরিচালিত হয়।
একটি অনলাইন ব্যবসায় যে কেবলমাত্র বিভিন্ন ধরণের পণ্য (যেমনঃ শাড়ি, কসমেটিকস, জুয়েলারি, ইলেকট্রনিক সামগ্রী) বিক্রি করা হয় এমন নয়, বরং এই ব্যবসায় বিভিন্ন সার্ভিস বা সেবাও কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করা হয়। যেমনঃ কন্টেন্ট রাইটিং, অ্যাডভারটাইজিং, এসইও রিলেটেড সার্ভিস ইত্যাদি।
যারা অনলাইনে ব্যবসা করেন তারা প্রধানত তিন ভাবে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেন। এগুলো হলো
০১. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
০২.অ্যাপের মাধ্যমে
০৩. সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে
যে মাধ্যমেই ব্যবসা করা হোক না কেন, অনলাইন ব্যবসায় শুরুতেই কোনো পণ্যের ছবি ও বিবরণ আকর্ষণীয়ভাবে কাস্টমার বা ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। তারপর যদি কোনো ক্রেতা সেটি কিনতে চান, তাহলে তিনি ওই বিজনেসের ওয়েবসাইট, অ্যাপ কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া পেইজের মাধ্যমে নিজের নাম,ঠিকানা ও ফোন নাম্বার দিয়ে অর্ডার প্লেস করেন।
তারপর সেই প্রোডাক্টটি ভালোভাবে প্যাকিং করে কাস্টমারের বাড়িতে হোম ডেলিভারি করা হয়। এভাবেই অনলাইন বিজনেসে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনার যাবতীয় কাজ করা হয়৷ আশা করি অনলাইন ব্যবসা কি সেটি সবাই বুঝতে পেরেছেন।
সেরা ১০ টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া জানুন
এখন আমরা চলে এসেছি আমাদের লেখার মূল অংশে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক সেরা দশটি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে, যেগুলো আপনারা অল্প পুঁজি থাকা সত্বেও শুরু করতে পারবেন।
০১। অনলাইন ফুড বিজনেস
অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে সবার শুরুতে আমি যে ব্যবসাটি নিয়ে কথা বলবো সেটি হচ্ছে অনলাইন ফুড বিজনেস। বিশেষ করে এই ব্যবসাটি কিন্তু গৃহিণীদের জন্য দারুণ সুবিধাজনক।
বর্তমানে মানুষের কাজের ব্যস্ততা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যাওয়ায় এখন অনেকেই অনলাইনে তাদের অফিসের জন্য, বাচ্চাদের টিফিনের জন্য কিংবা বাড়ির কোনো অনুষ্ঠান বা দাওয়াতের জন্য ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খোঁজেন৷ তাই যদি আপনি ভালো রান্না করতে পারেন এবং অনলাইনে ব্যবসা করতে চান, তাহলে একটি ফেসবুক পেইজ ওপেন করার মাধ্যমে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
০২। রিসেলিং ব্যবসা
রিসেলিং ব্যবসা সম্পর্কে হয়তো অনেকেই জানেন না। অথচ যাদের পুঁজি একেবারেই নেই, তাদের জন্য এই অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া একদম পারফেক্ট। রিসেলিং ব্যবসা হচ্ছে অন্য কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদেরই কোনো পণ্য নিজের পেইজ বা ওয়েবসাইট থেকে বিক্রি করা। তবে এক্ষেত্রে মজার বিষয় হলো, আপনি নিজের জন্য প্রফিট রেখেই এ পণ্যগুলো বিক্রি করার স্বাধীনতা পাবেন। গুগলে কিংবা ফেসবুকে একটু সার্চ করলেই আপনারা এমন অনেক প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাবেন যারা রিসেলিংয়ের সুযোগ দেয়। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটার হন তবে কাজটা আপনার জন্য অনেক সহজ হবে
০৩। ব্লগিং
কি? একটু অবাক লাগছে? ভাবছেন ব্লগিং আবার ব্যবসা কিভাবে হয়? সত্যি বলতে ব্লগিং এখনকার দিনের সেরা অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে যাদের কনটেন্ট রাইটিংয়ের হাত অনেক ভালো, তাদের জন্য এ ব্যবসাটি হতে পারে অল্প পুজিতে লাভবান হওয়ার দারুন একটি মাধ্যম।
এ ব্যবসা করার জন্য শুরুতেই একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে সেই ওয়েবসাইটে একটি নির্দিষ্ট নিশ অথবা অনেকগুলো নিশের ওপর ভালো ভালো কনটেন্ট লিখতে হয়। এ কনটেন্ট গুলো অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি হতে হয়, যাতে করে সাইটে বেশি বেশি ভিজিটর আসতে পারে। ব্লগিং ব্যবসা করলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কোলাবোরেশান কিংবা গুগল এডসেন্স ইত্যাদির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং বিষয় এ জানতে: ফ্রিল্যান্সিং কি
০৪। অনলাইন কাঁচা বাজার
বর্তমানে বহু মানুষ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাঁচা বাজারের পণ্য, যেমনঃ শাক- সবজি, মাছ -মাংস ইত্যাদি কেনার জন্য অনলাইনের সাহায্য নেন। তাই অনলাইন কাঁচা বাজার হতে পারে একটি ভালো অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া। এ ব্যবসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যদি আপনি আপনার ক্রেতাদের বাড়িতে ফ্রেশ কোয়ালিটির পণ্য পৌছে দিতে পারেন, তাহলে একজন ক্রেতাই আপনার কাছ থেকে বারবার পণ্য কিনবে।
০৫। ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি
যদি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে যথেষ্ট নলেজ থাকে এবং আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন সেক্টর, যেমনঃ ফেসবুক মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিংবা গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে নিজেই শুরু করতে পারেন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি।
যেহেতু এখনকার দিনে অনলাইন বিজনেসের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই যারা এ ব্যবসা করেন তারা তাদের ব্যবসার মার্কেটিং সঠিকভাবে করার জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির সহায়তা নিয়ে থাকেন।
তাই ২০২২ সালের সেরা অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া এর তালিকাতে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সিকে আমি শুরুর দিকেই রাখবো।
আপনারা চাইলে নিজের একটি এজেন্সি ওপেন করে সেখানে কাস্টমারদেরকে বিভিন্ন সার্ভিস, যেমনঃ কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস, এসইও সার্ভিস কিংবা গ্রাফিক ডিজাইন রিলেটেড সার্ভিস, যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন ইত্যাদি সার্ভিস দিতে পারেন।
০৬। অনলাইন কোর্স বিক্রি করা
বর্তমানে মানুষ যেন বাড়িতে বসেই নিজেদের স্কিল ডেভেলপ করতে পারে, সে জন্য বিভিন্ন ধরনের অনলাইন কোর্স করে থাকে। তাই কোনো বিষয়ে যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে সে বিষয়ে অনলাইন কোর্স বানিয়ে যেসব প্ল্যাটফর্মে অনলাইন কোর্স সেল করা যায়,সেসব প্ল্যাটফর্মে সেল করতে পারেন। যেমনঃ আপনি যদি প্রোগ্রামিং পারেন, তাহলে আপনার জন্যে একটি উপযুক্ত অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে প্রোগ্রামিংয়ের অনলাইন কোর্স বানিয়ে তা বিক্রি করা।
আবার চাইলে নিজে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে কিংবা ফেসবুক পেইজ ওপেন করে সেখানেও নিজের কোর্স সেল করতে পারেন। অনলাইন কোর্স বিক্রি করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যদি একবার কোর্স বানিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন, তাহলে একটি কোর্স বানিয়েই অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।
০৭। অনলাইন লন্ড্রি সার্ভিস
এখন আমি আপনাদেরকে যে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বলবো সেটি গতানুগতিক ব্যবসাগুলো চাইতে কিছুটা ভিন্ন। কিন্তু আমি এটুকু গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, যদি সাহস করে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং একবার লাভবান হওয়া শুরু করতে পারেন, তাহলে এ ব্যবসাই আপনাকে এনে দিতে পারে সফলতা।
অনলাইন লন্ড্রি সার্ভিস হলো অনলাইনের মাধ্যমে মানুষের কাপড়চোপড় ওয়াশ করার অর্ডার নিয়ে সেগুলো ওয়াশ করার পর ইস্ত্রি করে পুনরায় তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া। যেহেতু বর্তমানে সবাই অনেক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই তাদের কাপড় ধোয়ার সময় থাকেনা। তাই চাইলে লাভজনক এ ব্যবসাটি একবার হলেও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
০৮। ডোমেইন হোস্টিং ব্যবসা
কয়েক বছর আগেও ডোমেইন হোস্টিং ব্যবসা তেমন একটা জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু এখন সময় পাল্টে গেছে। ডোমেইন হোস্টিং ব্যবসা এখনকার সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে অন্যতম।
ডোমেইন হোস্টিং ব্যবসা হলো মূলত অল্প দামে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে সেগুলো প্রফিটের মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে সেল করা৷ তবে এক্ষেত্রে একটি কথা জেনে রাখা ভালো। সেটি হলো ডোমেইন হোস্টিং ব্যবসা কিন্তু বর্তমানে বেশ প্রতিযোগিতামূলক। এ কারণে যদি এই ব্যবসায় সফলতা পেতে চান, তাহলে ব্যবসার মার্কেটিংয়ের দিকে অবশ্যই জোর দিতে হবে।
০৯। অনলাইনে কাপড়চোপড় বা গয়নার ব্যবসা
এবার আমি যে অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কথা বলবো সে ব্যবসাটি শুরু করা হলে অল্প সময় লাভ করা যায়। এ ব্যবসাটি হলো অনলাইনে কাপড়-চোপড় কিংবা গয়না বিক্রি করার ব্যবসা। এখন মানুষ কিন্তু শপিংমলের পাশাপাশি অনলাইনেও সমানতালে নিজেদের কাপড়চোপড়, গয়না, ব্যাগ ইত্যাদি কেনাকাটা করে।
তাই চাইলে অনলাইনে নিজের একটি ফেসবুক পেজ ওপেন করতে পারেন, যেখানে আপনি ক্রেতাদের কাছে কাপড়-চোপড় গয়না ব্যাগ ইত্যাদি বিক্রি করতে পারবেন।
তবে যদি এই ব্যবসাটি করতে চান, তাহলে ক্রেতাদের পছন্দ, আবহাওয়া, ফ্যাশন ট্রেন্ড ইত্যাদি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। যেমনঃ আপনি যদি অনলাইনে গয়নার ব্যবসা করে থাকেন, তাহলে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর অর্থাৎ বিয়ের সিজনে আপনাকে কালেকশনে কিছু ভারী গয়না রাখতে হবে, কারণ এ সময়টায় সবাই কমবেশি বিয়ের দাওয়াত পেয়ে থাকেন, তাই সে দাওয়াত উপলক্ষে তারা গয়না কেনাকাটা করেন।
১০। ইউটিউব চ্যানেল
যদি আপনার ভিডিও বানাতে ভালো লাগে, তাহলে ইউটিউব ভিডিও হতে পারে আপনার জন্য পারফেক্ট অনলাইন বিজনেস। বর্তমানে অনেক মানুষ ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে যারা ভিডিও দেখেন তাদেরকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে বা স্পনশরশীপের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারছেন।
তাই আপনার যদি একটি ভাল কোয়ালিটির ফোন কিংবা ক্যামেরা থাকে এবং আপনি যদি ভিডিও এডিটিং পেরে থাকেন, তাহলে একটি ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করতে পারেন। সেই ইউটিউব চ্যানেলে চাইলে ডেইলি ভ্লগ বানাতে পারেন, চাইলে বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও বানাতে পারেন, আবার চাইলে মুভি রিভিউ, ফুড রিভিউ ইত্যাদিও করতে পারেন।
এগুলোই হলো ২০২২ সালের সেরা ১০ টি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া, যেগুলো অল্প পুঁজিতে করা সম্ভব এবং একইসাথে লাভজনকও বটে।
অনলাইন ব্যবসার সুবিধা কি কি ?
আপনি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন কিনা, সে সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য চলুন এখন জেনে নেয়া যাক অনলাইন ব্যবসার সুবিধা কি কি সে সম্পর্কে।
এখনকার যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার করেননা এমন একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবেনা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা বিশ্বই চলে এসেছে মানুষের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোন বা সামনে থাকা কম্পিউটারের স্ক্রিনে।
মানুষ যে কেবলমাত্র বিনোদনের জন্যই ইন্টারনেট ব্যবহার করে এমন কিন্তু নয়, বরং এখন সবাই তাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য কিংবা নিতান্তই শখের কোনো জিনিস – মোটা দাগে যেকোনো কিছু কেনাকাটার জন্যই সাহায্য নেয় বিভিন্ন ওয়েবসাইট, শপিং অ্যাপ কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া (যেমনঃ ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম) ভিত্তিক পেইজগুলোর।
এটি নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে, যেহেতু অনলাইন ব্যবসা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়, তাই অনলাইন ব্যবসার সুবিধা হলো এখানে ক্রেতা পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। একারণেই অনলাইন ব্যবসা করে অল্প সময়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
অনলাইনে ব্যবসার সুবিধা হিসেবে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এ ব্যবসা নিজের বাড়িতে কিংবা নিজের সুবিধাজনক যেকোনো জায়গায় বসে করা যায়৷ যেমনঃআপনি যদি একজন গৃহিনীও হন, তাহলেও কিন্তু আপনি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিজের পছন্দমতো যেকোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
অনলাইন ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যেটি পরিচালনা করার জন্য খুব বেশি ডিভাইস দরকার হয়না। বরং শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোনই প্রথমদিকে যথেষ্ট৷
এ ব্যবসা অল্প পুঁজি দিয়েও শুরু করা যায়। বর্তমানে এমন অনেক অনলাইন ব্যবসায়ী দেখতে পাবেন যারা একেবারে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করে এখন প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।
অনলাইনে ব্যবসা করা হলে প্রচুর মানুষের কাছে নিজের ব্যবসার পরিচিতি তুলে ধরা সম্ভব। শুধু তাই নয়, চাইলে এই ব্যবসায় অডিয়েন্স টার্গেটিং, অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকা, বয়স, জেন্ডার ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে যে ধরণের মানুষের কাছে নিজের ব্যবসা তুলে ধরতে চান সেটি করতে পারবেন। যেমনঃ যদি আপনার একটি ফেসবুক পেইজ থাকে এবং যারা চট্টগ্রামে থাকে তাদেরকে আপনার পেইজের অ্যাড দেখাতে চান, সেটিও দেখাতে পারবেন।
অনলাইন ব্যবসার সুবিধা হিসেবে আরো বলা যায় আপনি নিজের দেশের মানুষের কাছে তো পণ্য কিংবা সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেনই, উপরন্তু দেশের বাইরে কাস্টমারদের কাছেও কিন্তু বিক্রি করতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল শিপিং সম্পর্কে জ্ঞান এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট – এ দুটি অবশ্যই থাকতে হবে।
শেষ কথা
এটুকুই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা। আশা করছি আপনারা অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া এবং অনলাইন ব্যবসার সুবিধা কি কি সেগুলো ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন।
সব সময় মনে রাখবেন যে কোন ব্যবসাতেই সফলতার স্বাদ পেতে চাইলে পরিশ্রম, ধৈর্য্য ও সততা এ তিনটি বিষয় থাকা অত্যাবশ্যক। তাই অনলাইন ব্যবসায় সফল হতে চাইলে অর্থনৈতিক পুঁজির পাশাপাশি এ তিনটি বিষয়কেও পুঁজি করে এগোতে থাকুন, দেখবেন অবশ্যই সফল হবেন।